শশাঙ্ক : রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

(0 পর্যালোচনা)
লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রকাশক বইদেশিক

মূল্য
₹450.00
পরিমাণ
মোট দাম
শেয়ার করুন

শশাঙ্ক 

রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় 

বিশেষ প্রাককথন : ঋজু গাঙ্গুলি 

"মগধ হইতে সংবাদ আসিল যে, যশোধবল অত্যন্ত পীড়িত, গৌড়বঙ্গের সেনা লইয়া বিদ্যাধরনন্দী যথাসম্ভব দ্রুতবেগে অগ্রসর হইতেছেন। দূতগণ নিয়ত রাজ্যবর্ধনের যাত্রার সংবাদ আনিতে লাগিল। তিনি মথুরায় উপস্থিত হইলে, সম্রাট তাঁহার নিকট দূত প্রেরণ করিলেন, দূত অপমানিত হইয়া ফিরিয়া আসিল এবং কহিল, "স্থান্বীশ্বর-রাজ বলিয়াছেন, তিনি পাটলিপুত্রে শশাঙ্কের সহিত সাক্ষাৎ করিবেন।” অনন্তবর্মা ও মাধববর্মা যমুনাতরে রাজ্যবর্ধনের গতিরোধ করিবার প্রস্তাব করিয়াছিলেন, কিন্তু শশাঙ্ক তাহাতে সম্মত হইলেন না। অবশেষে রাজ্যবর্ধন সসৈন্যে শূকরক্ষেত্রে আসিয়া পৌঁছিলেন, তখনও শশাঙ্ক তাঁহাকে আক্রমণ করিলেন না। তিনি মহাধর্মাধ্যক্ষ নারায়ণশর্মাকে দূতরূপে স্থান্বীশ্বর শিবিরে প্রেরণ করিলেন। নারায়ণশর্মা স্বর্গীয়া মহাদেবী মহাসেনগুপ্তার শ্রাদ্ধোপলক্ষে মহাকুমার মাধবগুপ্তের সহিত স্থাম্বীশ্বরে গমন করিয়াছিলেন; তৎকালে তিনি রাজ্যবর্ধনের সহিত পরিচিত হইয়াছিলেন এবং উভয় ভ্রাতাই বৃদ্ধ ধর্মাধক্ষ্যকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করিতেন।

সম্রাট নারায়ণশর্মার মুখে রাজ্যবর্ধনকে বলিয়া পাঠাইলেন যে, দেবগুপ্ত তাঁহার অনুমতি না লইয়া কান্যকুব্জ আক্রমণ করিয়াছিলেন, মহানায়ক নরসিংহদত্ত তাঁহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানদুর্গ আক্রমণ ও অধিকার করিয়াছেন। স্থান্বীশ্বরের সেনানায়কগণ মাধবগুপ্তের সহিত পরামর্শ করিয়া বারাণসীভুক্তি অধিকার করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন বলিয়াই তিনি সসৈন্য অগ্রসর হইয়াছেন। স্থাম্বীশ্বররাজ তাঁহার আত্মীয়, তাঁহার সহিত প্রকাশ্যে বিবাদ করিবার তাঁহার কোনই ইচ্ছা নাই। আদিত্যবর্ধন ও প্রভাকরবর্ধনের সময়ে উভয় রাজ্যের যে প্রীতিবন্ধন ছিল, তিনিও তাহা অক্ষুণ্ণ রাখিতে চাহেন। তবে স্থান্বীশ্বররাজ্য ও মাগধ সাম্রাজ্যের মধ্যে যে নির্দিষ্ট সীমা আছে, তাহা স্থির করিবার জন্য তিনি রাজ্যবর্ধনের সহিত সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেন। এই অনির্দিষ্ট সীমায় বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডরাজ্য আছে, তাহাদিগের জন্য সতত বিগ্রহাশঙ্কা উপস্থিত হয়, সীমা নির্দিষ্ট হইলে ভবিষ্যতে বিবাদের কারণ থাকিবে না। দেবগুপ্ত জীবন বিসর্জন দিয়া অতর্কিত ভাবে কান্যকুব্জ আক্রমণের প্রায়শ্চিত্ত করিয়াছেন; তাঁহার জন্য সম্রাট স্থান্বীশ্বরের সহিত বিবাদ করিতে চাহেন না। দুই দণ্ড পরে নারায়ণশর্মা আসিয়া জানাইলেন যে, তাঁহার দৌত্য ব্যর্থ হইয়াছে; রাজ্যবর্ধন উদ্ধত ভাবে সম্রাটের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন; কিন্তু রাজমর্যাদা রক্ষার জন্য উভয় শিবিরের মধ্যস্থলে জাহ্নবীতীরে সম্রাটের সহিত সাক্ষাৎ করিতে সম্মত হইয়াছেন।

সন্ধি অসম্ভব জানিয়া শশাঙ্ক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইতে লাগিলেন; কান্যকুব্জ নগর ও দুর্গ আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হইলেন, বিদ্যাধরনন্দী তখনও বহুদূরে।"

পর্যালোচনা ও রেটিং

0 মোট 5.0 -এ
(0 পর্যালোচনা)
এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি