সরলা ও সন্ন্যাসী
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
বিবেকানন্দ স্বামী, আপনি এত স্বার্থপর? স্টার থিয়েটারে একটি মাত্র ভাষণ দিয়েই স্বদেশের প্রতি আপনার কর্তব্য সম্পন্ন করলেন? আমি তো বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম, আপনি আমাদের যুগাবতার! আপনিই পারবেন আমাদের নৈতিক অধোগতির পরিত্রায়ক হতে। হে সন্ন্যাসী, হে প্রাণসখা, হে বীর, আপনি ইচ্ছা করলে স্বদেশের অনেক কাজ করতে পারতেন। কিন্তু আপনি কি আমাদের সূর্যোদয় নন? আপনি কি একটি বৃহৎ তারার ক্ষণিক জ্যোতিমাত্র?----সরলা
----------------------
'সরলা ও সন্ন্যাসী' রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও একটি সুখপাঠ্য, মর্মস্পর্শী উপন্যাস, যার কেন্দ্রে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতনি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগনি, স্বর্ণকুমারীদেবী ও জানকীনাথ ঘোষালের কন্যা সরলা ঘোষাল ও তাঁর প্রাণন ও প্রেরণা এক তরুণ সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ। ঠাকুরবাড়ির মেয়ে হয়েও সরলা নিজের পায়ে দাঁড়াবার জন্য চাকরি করলেন মহীশূরে। রবীন্দ্রনাথের হাত থেকে 'ভারতী' পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব নিয়েও চললেন নিজের মতাদর্শে। দ্রোহিণী হলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে। এই বর্ণময়, বিপুল বিদূষী, সাহসী বাঙালি মেয়েকে ডাক দিলেন বিবেকানন্দ তাঁর সঙ্গে আমেরিকা যেতে। আকাশ ভেঙে পড়ল ঠাকুরবাড়ির মাথায়!
তারপর? কারা পথ আগলে দাঁড়ালেন সরলার? বাধা দিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ? অবিশ্বাস্য তবু সত্য! বর্ণময় নায়িকা সরলার করুণ জীবনই রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়-এর উপন্যাসের বিষয়। উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল 'প্রতিদিন'-এর 'ছুটি'-তে প্রতি রবিবার। 'সরলা ও সন্ন্যাসী' সেই উপন্যাসেরই পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত রূপ।
বাংলায় সরলা ও বিবেকানন্দকে নিয়ে প্রথম উপন্যাসটি রঞ্জনই লিখলেন তাঁর দ্রুতিময় ও বিভাবিত গদ্যে। রোম্যান্টিক আধ্যাত্মিকতার এ এক অপূর্ব উন্মোচন। আর সেই আলোর তলায় নিয়তির আঁধার।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি