পূর্ণেন্দু পত্রী
চণ্ডী মুখোপাধ্যায়
প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও অঙ্গসজ্জা : শুভদীপ সেনশর্মা
চলচ্চিত্র গ্রন্থমালা সিরিজ ১৩
সিনেমার কাছ থেকে কিছুই পাননি তিনি। পেয়েছেন নিরন্তর সংগ্রাম, আবার অবিরত বঞ্চনা। তবু সিনেমা প্রেম তাঁর যায়নি। অবিরত সিনেমা চর্চার মধ্যে থাকতেন। বিশ্ব সিনেমার খোঁজ রাখতেন সবসময়। এবং বলা বাহুল্য, এই সিনেমাপ্রেম আজকের নয়। পূর্ণেন্দুর যৌবনকাল থেকেই তাঁর এই চলচ্চিত্র প্রেম। কলেজ জীবনেই আবিষ্কার করেন সিনেমা দেখার কলাকৌশল। হাউ টু সী এ ফিল্ম। সিনেমার ভাষা কীভাবে পড়তে হয়। তাই 'পথের পাঁচালী' দেখেই বুঝেছিলেন বাংলা সিনেমায় নতুন যুগ আসছে। 'পথের পাঁচালী' মুক্তির দিনই বীণা সিনেমায় নাইট শো-তে ছবিটি দেখেন তিনি। মুক্তির আগে 'পথের পাঁচালী'-র পোস্টার দেখেই মুগ্ধ হয়েছিলেন। কলকাতার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে খুঁজে খুঁজে এই ছবির পোস্টার দেখে বেড়াতেন। তিনি তো শিল্পী। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আবিষ্কার করতেন এই ছবির পোস্টারের বিশেষত্ব অভিনবত্ব। 'তখন দেখছি। আগে কখনও সিনেমার হোডিং দেখার জন্যে উত্তর কলকাতার এক প্রান্ত থেকে চৌরঙ্গির শেষ প্রান্তে দৌড়ইনি। তখন দৌড়চ্ছি। এখন যেখানে বিড়লা প্লানেটোরিয়াম, তার উল্টোদিকে একটা জায়গায় প্রকাণ্ড হের্ডিং পড়েছিল 'পথের পাঁচালী'র। কখনও একা, কখনও ঝাঁক বেঁধে বারবার ছুটে গেছি দেখতে। দেখেছি, দেখিয়েওছি একে ওকে টেনে টেনে। আস্ত একটা ওয়াটার কালারের ছবি।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি