মহাভারত (একাদশ খন্ড)
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ
মহাভারত এবার অন্য এক আঙ্গিকে।
যুদ্ধের ঠিক শুরুর মুহূর্তে অর্জুন যখন যুদ্ধ করতে চাইছিলেন না, আত্মীয়বধ করতে চাইছিলেন না, তখন কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন, যাঁকে তিনি হত্যা করছেন, তিনি তো আগে থেকেই মৃত। কাল হোক, ভবিতব্য হোক, অথবা কৃষ্ণ স্বয়ং ঈশ্বর হয়ে তাঁদের আগে থেকে মেরে রেখেছেন। অতএব অর্জুন কাকে হত্যা করছেন আর! সমাজে সবার ধর্ম আছে। যার যার কর্ম করাই তার তার ধর্ম। অর্জুনের ধর্ম ক্ষত্রিয়ের। যুদ্ধের প্রয়োজনে হত্যাই তাঁর ধর্ম।
যোদ্ধাদের জীবনই এমন। অন্যসময় অনেক আবেগ, অনেক সংবেদন, কিন্তু যুদ্ধের সময় বা হত্যা করার সময় যোদ্ধা অথবা হত্যাকারী নির্বিকার। সে তার অভ্যাস মাত্র।
লেখক শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষের এই মহাভারতে কোনো অলৌকিকত্বের বিভায় এ লেখা উদ্ভাসিত নয়, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে লিখিত এই 'মহাভারত' সামগ্রিকভাবেই কুরু-পাণ্ডবের কাহিনিকে ছাপিয়ে হয়ে উঠেছে গণভারতের মহাদর্পণ। দীর্ঘ ও বিপুল গবেষণার মধ্যে দিয়ে এ গ্রন্থে উঠে এসেছে এক দীর্ঘকালের ইতিহাস কাহিনিচ্ছলে। ভারত ইতিহাসের এক নতুন পাঠ এই 'মহাভারত'। তার ফলে পাঠক আরোও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে পরিচিত হতে পারবে বলেই মনে হয়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি