খেলার ৬০
অশোক দাশগুপ্ত
সে ছিল এক দুরন্ত দিন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার আগেই মাঠমুখো হত বাঙালি। ফুটবলের টানে জীবনের সব আকর্ষণকে দু'হাত দিয়ে সরিয়ে তারা ভরিয়ে দিত গ্যালারির প্রতিটি কোণ। আজকের মতো না হলেও সেদিনের বাঙালির ক্রিকেট প্রেম ছিল নিখাদ, নিরুচ্চার। কারণ তখন তা কলঙ্কিত করেনি পানপরাগের পিক। যাঁরা রাজদর্শনের সুযোগ পেত না তারা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতো, আকাশবাণীর ধারাভাষ্য শুনে কিংবা দৈনিক সংবাদপত্রের খেলার পাতায় চোখ রেখে। কিন্তু তাতে তৃষ্ণা মিটত কোথায়? থেকে যেত একটা অতৃপ্তি। রয়ে যেত অনেক ফাঁক। আরও অ-নে-ক কিছু জানবার জন্য উন্মুখ ছিল। খেলাপাগল বাঙালির হৃদয়। সেই সময়। তিনি এলেন ঝড়ের মতো। তাঁর কলমের ছোঁয়ায় অর্ধ শতাব্দী প্রাচীন, ঘুমন্ত বাংলার ক্রীড়া সাংবাদিকতা যেন পেল প্রাণের পরশ। সব্যসাচী তিনি। তাঁর এক হাত নিবেদিত হল ঐতিহ্য ও আধুনিকতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোয়, অন্য হাতে তিনি উড়িয়ে দিলেন, জ্বালিয়ে দিলেন মান্ধাতার আমলের জীর্ণ, পুরাতন ধ্যান-ধারণাকে। ভারতীয় ক্রীড়া ‘সাংবাদিকতায় নব জাগরণ আনলেন তিনি গত পঁচিশ বছর ধরে এই ‘ডিরোজিও’-র কলম থেকে যে অসংখ্য মণিমুক্তো বেরিয়েছে তার থেকে সংগৃহীত সেরা ঘাটটি। মূল্যবান, ঐতিহাসিক কিন্তু এখনও প্রাসঙ্গিক রচনা নিয়ে নিবেদিত হল।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি