জোড়াসাঁকোর রূপকথা
জয়ন্তী মণ্ডল
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির আনাচে-কানাচে কত কথা লুকিয়ে রয়েছে। ছড়িয়ে রয়েছে কত মণি মুক্তোর কাহিনি। কত ইতিহাস, কত গল্প। এখনও জোড়াসাঁকোয় গেলে দেখতে পাবে অনেক ঘর। গলি, ঘুপচি। আঁকা-বাঁকা সিঁড়ি। চোরা কুঠুরী। এইসব ঘরে ঠাকুরবাড়ির মানুষেরা থাকতেন। মেয়েদের জন্যে ছিল অন্দরমহল। পুরুষদের জন্যে ছিল বাহিরমহল। আর তার মাঝে ছিল ছোটরা। ছিল ঝি, চাকরানি, কাজের লোক, খাজাঞ্চি, বেহারা, পাখা টানার লোকজন, আত্মীয় কুটুম্ব ইত্যাদিরা। ব্যবসার কাজেও অনেক লোকজনের আনাগোনা হত। স্বদেশী মেলার পরিকল্পনাও হয়েছিল এখান থেকে। ব্রাহ্ম ধর্মের আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন সবেই এবাড়ি ছিল সবার আগে। দেশের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্ঞানে গরিমায় সবার আগে ছিল এই বাড়ির মানুষেরা। তাঁরাই নতুন করে জাগিয়ে দিয়েছিল দেশ ও দেশের মানুষদের। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল বাংলার নবজাগরণ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি