বাঙালির বটতলা ২
সম্পাদনা : অদ্রীশ বিশ্বাস অনিল আচার্য
বটতলা বলতে বাঙালি বোঝে বটগাছের নীচের চত্বর, সেখানে এলাকাবাসী নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে, বিশ্রাম নেয়, ফেরিওয়ালা বসে মালপত্র বিক্রি করে, কখনও-বা ক্ষৌরকার চুল-দাড়ি কাটেন। কিন্তু বটতলা-র আইডেন্টিটিটা যে কখনও বইয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, এ বিষয়ে ভাবা বেশ কঠিন। অথচ এদেশে ছাপাখানার বিস্তার ও ছাপা বই প্রচলনের আদিযুগে বটতলাকে কেন্দ্র করেই আর-একটা আস্ত প্রকাশনার ধারা তৈরি হয়ছিল, যা ছিল আমাদের দেশজ সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প। এই দেশজ বিকল্প ধারণ করেই গড়ে উঠেছিল প্রায় দু'শো বছর আগে (১৮১৮) বটতলার আইডেন্টিটি। সেই সময় পাঁজি থেকে শুরু করে কিস্যা, প্রহসন, নাটক, ছবি, ইসলামি সাহিত্য- সব কিছুই ছাপা হতো। দ্বিতীয় খণ্ডে ছাপা হলো সেই দেশীয় বিকল্পের নির্বিকল্প গবেষণাভিত্তিক প্রবন্ধের এক সংগ্রহ। আশা করা যায়, যা কিছু অপ্রাপ্তি তা পূরণ হবে এই খণ্ডে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি