আড় খেয়া
ঝড়েশ্বর চট্টোপাধ্যায়
অনেকটা দূরে পর পর ক’খানা ইটভাটা । আগু-পিছু পাকা চিমনিগুলো দাঁড়িয়ে । তাদের মুখ দিয়ে কয়লার কালো ধোঁয়া পাক মেরে মেঘে । মেঘ থেকে আকাশে আর এক কালি-ঝুলির মেঘ হয়ে ভাসে । এখন পথের ডানদিকে ইটভাটাটার ভাঙাচোরা অফিস ঘরের পিছনে পুকুরপাড় দেখে ঈশিতা । পাড়ে পর পর ক’খানা তাল নারকেল খেজুর গাছের পাতা হাওয়ায় শিরশির করে কাঁপে । ওদিকেই তো গায়ে গায়ে টালি , অ্যাজবেস্টাস ছাউনিতে আট-দশ ঘর মানুষের বসবাস । তাদেরই কানাচ ঢিবিতে তাল নারকেল গাছ দাঁড়িয়ে । তাল গাছের দু’চারখানা ডাগলা মুড়িয়ে রসের ভাঁড়ে মোচগুচ্ছ ঢোকান । ধারালো হেঁসোয় মোচ ডগা দু’এক পরত চাকা চাকা ছে’ দিতেই ঝুঝিয়ে মিঠে রস । মেটে ভাঁড়ের কলসির দড়ি মোচ ডাগলায় জম্পেস করে বাঁধা । গাছগুলোর ছায়া বাতাসে শিশু পুত্রকন্যা নিয়ে মানুষের মায়াময় সংসার ।
উক্ত অংশটি ঝড়েশ্বর চট্টোপাধ্যায় রচিত "আড় খেয়া" গল্পসঙ্কলনের 'মেয়েদের মেস' গল্পটি থেকে নেওয়া । ঋতবাক সম্পাদিত এই বইয়ে লেখকের অতি সাম্প্রতিককালে রচিত তেরোটি গল্প রয়েছে ।
যেখানে গল্পের চরিত্রগুলি পরস্পরের মুখোমুখি হয়ছে এক কঠিন উপকূলীয় জীবনের মত্ততায় ও শৈথিল্যের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি